রহস্য (কিশোরী প্রণয় ও রথযাত্রা)
সুতনু হালদার
তারপর থেকেই এক এক করে আমি প্রতিটা মেঘের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলাম, প্রতিটা মেঘ তখন ভাসছে ওদের আকাশে, সেই আকাশ তখনো আমার ছিল না; আমি আর আকাশ ছিলাম বিপ্রতীপ
কিন্তু প্রবহমানতার আবদার ছিল ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর ছিল বহুত্ববাদের নৈমিত্তিক চাহিদাগুলো! যাবতীয় বিপ্রতীপতা একদিন বিচূর্ণ হ'ল, সত্তার নিক্তিতে টানাপোড়েন অস্তিত্বের প্রশ্নে বড্ড অনড়
আমি আর আকাশ বন্ধু হয়ে গেলাম! যে অভিযোজন মানুষ করে এসেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী, সেই অভিযোজন খিদের মতো গ্রোগ্রাসে ছুটে এলো প্রতিটি সিজিন্যাল ফ্লাওয়ারের ক্লিভেজ চুরমার করে; বন্ধুত্বের অমোঘ ব্যঞ্জনার আড়ালে শ্রমিকের ঘাম লেগে থাকে...
কয়েকটা বন্ধনীচিহ্ন প্রশ্নবোধক হয়ে বারবার খোঁচা দ্যায়, কয়েকটা তর্জনী নিজের স্পর্ধা আর নিজের এক্তিয়ার ভুলে যেতে যেতে একদিন আকাশ হয়ে যায়
এই আকাশ আবার আমার অচেনা কুঠুরিতে কোন অষ্টাদশীর মতো রহস্যময়! জীবনে অনেকগুলো অদৃশ্য প্লাটফর্ম থাকে বলে ঋতুবৈচিত্র্যে মানুষ দিশেহারা হয়ে চাঁদের গলনাঙ্ক চেখে দেখতে দেখতে পরের প্রজন্মের জন্য পোড়া মাংসের গন্ধ রেখে যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন