গৌরচন্দ্রিকা,,,,
(সম্পাদকীয়),,,,
আমার এই লেখনী কোন ব্যক্তিগত জাতিবিদ্বেষ,,ভাষাবিদ্বেষ,, বা কোন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রতিহিংসা কে আক্রমনের উদ্দেশ্যে নয়,,, এসব নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য কোনটাই নেই,,,, এই লেখার এক এবং অদ্বিতীয়ম উদ্দেশ্য হল,,,,নিঃস্বার্থ ধিক্কারজনিত প্রতিরোধ,,,,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হলেন মাতৃভাষায় বর্ণপরিচয়ের প্রণেতা,,, যেটাতে জন্মের পর কোন অবুঝ শৈশবের হাতেখড়ি হয়,,তার অক্ষর পরিচয় ঘটে,,,,যার করুণাহিতৈষী না জানি কতরকমের দেশ ও দশের জনহিতকর কাজ আমাদের সমাজ কে সকল অভিশাপের অন্ধকার যেমন বিধবা,বাল্যবিবাহ,মেয়েদের অশিক্ষা এসব কিছু থেকে মুক্তি দিয়েছে,,,অথচ সেই পিতা কিংবা জনক তার মাথা কেন কোন অপরাধে খন্ডন হল,,,,এই প্রশ্ন ও প্রতিবাদ তুলে এই প্রবন্ধ রচিত হয়েছে,,,,যেটা আমাদের বাঙালী জাতির জন্য সত্যিই লজ্জাকর ও ঘৃণ্য,,,, অন্য কোন অভিসন্ধি আমার নেই,,,
প্রথম ভাগ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথন,,,,
বিদ্যাসাগরের আত্মবিশ্লেষণ,,,,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চরিত্রের প্রধান গৌরব তাঁহার অজেয় পৌরুষ, তাঁহার অক্ষয় মনুষ্যত্ব --- এবং যতই তাহা অনুভব করিব ততই আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ ও বিধাতার উদ্দেশ্য সফল হইবে এবং বিদ্যাসাগরের চরিত্র বাঙালীর জাতীয় জীবনে চিরদিনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিবে।......
------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,,,,
(( এই অংশের লেখার অনুপ্রেরণা পাওয়া গেছে একটি নাম না জানা ফেসবুক ক্যাপশন থেকে,,, অনবদ্য তার ভাবনা,,, সশ্রদ্ধ প্রণাম ও ধন্যবাদ))
যদি মহান আদর্শে ও মনুষ্যত্বের হিতৈষিণী কর্মে অনুপ্রাণিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মুখে ভাষার যোগান দেওয়া সম্ভব হতো,,,,
তাহলে হয়ত বিদ্রোহী দামামায় একটিই অন্তর্দশন তার জাগ্রত হতো,,,,
আমার পাষাণপ্রস্তর মূর্তি ভেঙে তোমরা একদিক থেকে ভালোই করেছো,,, মুক্তি পেয়েছি সকল অশিক্ষিত স্বার্থান্বেষী গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া অশিক্ষিত চৈতন্যের মনুষ্যত্ব থেকে,,,, সেখানে তাদের মাঝে একাকী দিনরাত এক করে অস্থিচর্মসার করে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমি বড় ক্লান্ত,,, বড় বেমানান লাগে তোমাদের মতন অশিক্ষিত দের মাঝে থাকতে,,, কারণ মূর্খদের মাঝে আমাকে একদম মানায় না,,, আর শোভনীয় তো নয়ই বরং শোচনীয় এই অবাক কান্ডজ্ঞানহীন কর্ম,,,, সকল জটিল মনস্তত্ত্ব এর সাতসাতেরো আর তার মারণপ্যাঁচ আটকে রয়েছে,,,, মস্তিষ্কের গুরুচণ্ডালী দোষ স্নায়ুতন্ত্রের মাকুতে,,,, তাই তার ভেঙে পড়া,,, আজকের দিনে সহজ সরল প্রাঞ্জল ও অকপট হয়ে যাওয়াই একদিক থেকে মঙ্গল,,, দেশ ও দশের পক্ষে,,,, অন্যদিকে,,, একটা মারণযজ্ঞের ভয় সবসময় নাগরিক স্বত্তার পিছু ধাওয়া করে,,, একটা অনিশ্চিত ভবিতব্য ভয়,,,, যেন কি হয়,,,, কি হয়,,,,
অর্থ ও প্রতিপত্তি তে প্রকান্ড ক্ষমতাশালী ঈগল পাখি কখন এসে পিছু ধরে,,, আর ক্ষুদ্র মনন মনুষ্য ইঁদুর ছানা ভয়েই খালি মরে,,,, আর খালি পালাতে চায়,,,,
(( একটি ক্ষোভ ও আক্ষেপের প্রতিবাদী কবিতা,,,, সংগৃহীত ইন্টারনেট থেকে,,,, নাম না জানা একটি কবিতা,,, তবুও অপূর্ব সেই আবেগ)),,,
মনীষীর মূর্তি ভেঙে এ কোন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
যে শেখালো অ, আ, ক, খ ঘটালো বাংলা ভাষার বিকাশ......
যার ছোঁয়াতে নবজাগরণ, শিক্ষা হল নারীর হাতিয়ার.....
মানুষ কেন হয়ে উঠছে আস্তে আস্তে ক্ষমতায় জানোয়ার
চারিদিকে আজ উন্মাদনায় দেখি বড়মানুষের অবমাননা,
এ অন্যায় অবিচার যায় কি মানা? কক্ষনো না!
তাইতো বলি মানুষ আজ বেঁচে উঠুক, জাগুক তাদের বিবেক বোধ,
প্রতিবাদে পরিণত হোক জমে ওঠা তাদের ক্রোধ
দিকে দিকে ওঠুক আওয়াজ মুষ্টিবদ্ধ হাত হোক শক্ত
ক্ষোভ আক্ষেপ ভেতরে নয় মোদের জাগিয়ে তুলুক রক্ত
দেশপ্রেম - আচ্ছে দিন চাই না হোক বড় ইস্যু
সুস্থ একটা জীবন পাক সদ্য নবজাতক শিশু।।
সুন্দর কবিতা । কবিতা সংগ্রহ করে প্রচার এর আলোয় আনার জন্য সম্পাদক মহাশয়াকে ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন