শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সম্পাদকীয়: সুপ্রীতি বর্মন

স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিশেষ প্রতিবেদন,,,,,,
(( সম্পাদকীয়))

গৌরী লঙ্কেশ,,,,,

সুপ্রীতি বর্মন,,,,


(( Modified version after published at "Samay Jakhan",,,,Newspaper Edition,,,, Special thanks is given to the Journalist,,, Biswajit Hazra,,,,
 For whom
keen interest and special attempt,,,,and of course for the presentation of free will,,,,
I have written this protest on the context of brutal terrorism and nefarious attack over the renowned journalist in the form of a poetry,,,,
Dedicated to the respected martyr journalist,,,,
Gouri Lankesh,,,,))


প্রথম ভাগ,,,,

গৌরী আমি গৌরী তোমাদের চেনাজানা ঘরের আটপৌরে মেয়ে

 ধুন্ধুমার রাজনৈতিক গৃহযুদ্ধের লৌহকপাট বক্ষপিঞ্জরে মৃগয়া লোভাতুর নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হায়েনার

 কলমের পাঁকের কালির উদ্ভ্রান্ত বিচরণ নির্দ্বিধায় সত্যযুগ‌আরশিতে
সন্ত্রাসের কালো মুখোশের উন্মোচন।।

তার আঁচড়ে ছিঁড়লো কোন সন্ত্রাসবাদীর জমকালো পোষাক,,,,

প্রতিষ্ঠিত জাঁকজমক আলখাল্লার কোণে গুমোট অন্ধকারে অজ্ঞাতবাস ছলচাতুরীর।।

অন্ধ‌-উদগ্র-ধর্ষণ তেজে হল পাপাত্মার প্রকাশ্যে কালো কালো অক্ষরে কলঙ্ককামী ধর্ষণ।।

তাতে হল কোনকিছু অপ্রতিরোধ্য জনতার
ব্যারিকেড চিরে লজ্জিত ঘটনা,,,,

শান্তশিষ্ট ভদ্রসমাজের শালীনতা ও শিষ্টাচার ছাড়িয়ে
 কোন কালসমর নাকি আইনি সীমা উল্লঙ্ঘন।।

 শুধু তোমার মেয়েলী অঙ্গব্যবচ্ছেদ ব্যতিরেকে
সাহসী পুরুষসিংহের দাপটে নখদর্পণে সত্যসূর্যের রৌদ্রদগ্ধ রশ্মি অকপট আগুনে ছারখার সন্ত্রাসবাদীর অস্তিত্ব,,,,

কর্পূরের উদ্বায়ী দহন অনিশ্চিত সর্বভুক সত্যের আগুনে গৌরী লঙ্কেশের শোষণ,,,,
নিষ্কলুষ এই সমাজ ও তার নাগরিক যাতনা যতন,,,,

 গুহ্য অভ্যন্তরে তখন বিবেকের অন্তর্দহন কালভার্ট অশৌচ,,,,পাপাত্মার
সীমানায় স্থিতু পাপীর চলছে দময়ন্তীর দোহন।।

 তুমি যেন কোন জাহ্নবী হৃদয় সরসী বেপরোয়া ঔদ্ধত্য সীমাহীন আদিগন্ত কলমের যেন কোন ছায়া।।

কখন‌ও পারেনি আনতে কোন অবকাশে গ্রহণ তোমার দীপ্তমান প্রকাশের সূর্যালোকে।।

লঙ্কেশ্বর রাবণের সাথে আখড়া দিবারাত্র কষেছে তোমার জটিল স্নায়ুতন্ত্রের মাকু,,,

মারপ্যাঁচে তোমাকে ফেলবে খাদে একটু অসাবধানে সন্তর্পণে দাবার কুশলী চালে,,,,

হুমকি চোখরাঙানির তোমাকে বুঝে গেছে তারা যেন তুমি কোন উচ্ছ্বসিত সমুদ্রকালনাগের জোয়ারের পাশে পড়ে থাকা,,,
 অসীম ধৈর্য ও সহনশীলতায়
 স্থবিরতার কোন জেদী পাথর,,,

আছড়ে পড়তে চেয়েছে তাদের অনিচ্ছার তীব্র আক্রোশের প্রতিবন্ধকতার ঢেউ,,, তোমার অদম্য ইচ্ছাশক্তির গাঁটছোলা দেশমাতৃকার সাথে,,,
হয়নি এতটুকু ভঙ্গুর,,,

সংযমী ক্ষতবিক্ষত কোন সহনশীল প্রগতির শিরোধার্য অশোক চক্র,,,,,

তার দুর্নিবার প্রগতিশীল ঘর্ষণে মায়ের মাটির
 শকুনির চোখ উপড়ে ফেলে মাতাতে চায় নৃশংস ভাগাড়,,,

সেথা জীবন যেন বিনা নিঃশ্বাস,,
মুক্তি দমচাপা যেন কোন প্রমাদ,,,,
তবুও তার দাঁতে দাঁত চেপে প্রতিবাদ ঐকান্তিক প্রেম ও সত্যের আলিঙ্গন।।


কলমের হাজার কন্ঠ শব্দহীন বলিষ্ঠ তীক্ষ্ণ মিছিল প্রতিবাদী হুংকার,,,
মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্যায় শিরচ্ছেদের টান তোমার,,,
চোখের ঘুম নিল কেড়ে,,,
 তবুও তোমার অদম্য জিদে তুমি এতটুকু থামো নি,,,

কলমের স্রোতকে রেখেছো যেন নির্ভীক বানভাসী খরস্রোতা,,,

মুহূর্তে অপসারণের ডাক সকল পাপাচারের
প্রমাদে তোমার কলমের আঘাতে শ্লীলতাহানির অপবাদ,,,,

ফেললো তোমাকে গভীর কারাগারের গহীনে অন্ধকারে তুমি যেন কোন সূর্য,,,,,
 তুমি থামনি থামতে তুমি পারো না।।

চাই চাই গৌরীর প্রতিবাদের হুঙ্কার কালির আঁচড়ে
ধরে বেঁধে তোমাকে রাখা দায়
আনতেই হবে কলমের পাঁকে জীবন-পদ্ম-শৌর্য সাহসিকতার বিবেক,,,,
মরণপণ অঙ্গীকার।।

অতিষ্ঠ দুষ্কৃতির ছোড়া বেহিসাবী অনন্ত সাতসমুদ্র মৃত্যু,,,,
দিতে চায় তোমার ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত
 স্বাধীনতার আওয়াজ কে থামিয়ে,,,,
গুলির রন্ধ্র গুটি মৃত্যুর মোড়ক অপ্রত্যাশিত হয়ে আছড়ে পড়ে
পেছন থেকে পৃষ্ঠদেশে যেন কোন ছুরিকাঘাত,,,,,,
চিরন্তন সেই একঘেঁয়ে ঐতিহ্য
মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার,,,,
দিতে চায় সাহসিকতায় রূঢ় উচ্চশোণিত বক্ষপিঞ্জর খোকলা করে।।

করতে চায় মস্তিষ্কের উদ্ভাবনী কলাকৌশল চিরতরে ঘুম পাড়াতে
যেথা প্রতিবাদের আওয়াজ উঠতে চেয়েছে বারবার।।

পাতার পর পাতা ফর্মান কলমের আঁচড় তোমার অন্দরমহলে
ঘুম উড়িয়ে ছিলে একদা সন্ত্রাসবাদীর,,,
আজ সকালের নিশ্চিন্ত কলমে
 তোমার মৃত্যু সংবাদ,,,শেষ চিঠি,,,,
ঘরের মুখে কন্যার শেষ অন্তর্জলি যাত্রা।।


উঠোন আর ঘরের দেওয়ালে নাগরিকত্বের পলেস্তারা খসানো তীব্র চাপা আর্তনাদ
ঘরের মেয়ে আয় ফিরে আয়,,,,
ঔদাসীন্য কর্ণপাত নিস্তব্ধ নিথর দেহ
অতৃপ্ত আত্মার যেন কোন হুংকার।।

আমি যাইনি, আমি যেতে পারিনা,
 আমার কলম এখন‌ও চলতে বাকি
ধোঁয়াশা কুয়াশার অন্ধকারে সাক্ষ্য প্রমাণ আমার গয়ংগচ্ছ অমর প্রতিচ্ছবি,,,
শীতঘুম সর্পিল অঙ্গ বিকৃতি।।
স্তব্ধ সকল প্রেক্ষাপটে,,,,
আজ তুমি কোথায় গৌরী।।

নপুংসক মেরুদন্ড হীন এই কূপমণ্ডূক সমাজে
নেই কোন বলিষ্ঠ ধারালো নির্ভরতায় রুখে দাঁড়ানোর মতন তলোয়ার,,, তোমার হয়ে,,,,
খাপে এখন সে নির্লিপ্ত ক্ষণে
কিছু যদি ঘটে যায় সেই সম্ভাব্য অশনি সংকেতের বিপদ এড়িয়ে
শালীনতা ও শিষ্টাচারে সুবোধ বালক
সুশীল নাগরিক সমাজের কর্ণধার,,,
ঘুমিয়ে রয়েছে পরম সুখে,,,
যেখানে সন্ত্রাসের গুলি পারেনি ঘটাতে
কোন অপ্রত্যাশিত চমক ব্যাঘাত,,,,
"আয় ঘুম আয়,,,
আমার সোনার কপালে চাঁদামামা টি দিয়ে যায়",,,,

তাতে যত‌ই ফেটে পড়ুক গৌরী কে হারিয়ে মায়ের পাঁজর,,,,
 পুড়ে যাক গৌরীগ্রীবার সুবর্ণ শ্রীময়ী কপাল,,,,
তবুও আনন্দ-শহীদ‌-আত্মত্যাগী-শোণিতের অশ্রু বক্ষের পাষাণ বেদী
 শোষণে হয়ে উঠতে চায় কোন দুর্মূল্য হীরেমণিকাঞ্চন,,,,দেশপ্রেমীর আত্মযোগ,,,,


প্রতিবেশী ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল
রবীন্দ্র-চেতনায়-কৈশোর-হিন্দোলিত আক্ষেপ কিংবা বলতে পারো পিছিয়ে পড়ার অনুশোচনার গার্হস্থ্য শোকে,,,,

সাহসী গৌরীর নবজাগরণের কালজয়ী স্রোতে,,,
আজ লেগেছে ভাঁটা গৌরীর অকাল প্রয়াণে গৃহীর চৌকাঠে,,,,


নিজস্ব আখের গোছানোয় আত্মনিমগ্ন
আজ‌ও তোরা দেশবাসী র‌‌ইবি নির্বিকার,,,,
কাপুরুষ বেদবাক্যহীন মন্ত্র উচ্চারণে,,,,
নিজ কর্মে নিজ ফলে,,,
নিজ নিজ প্রশস্তির রটন্তী,,,,মরণশীল কামড়ে,,,,
কিংবা আহম্মক আগ্রাসী স্বার্থসিদ্ধি হুতাশনে শুধুমাত্র একটি দিনে ঘটা করে,,,,
বিজয় পতাকা দেশ স্বাধীনের নামে ভন্ডামি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার উঁচু ধ্বজা দাও লেহেরিয়ে,,,,,ঐ উঁচু নির্মল আকাশে,,,,
আর মুখেই শুধু তোমরা সুবোধ বালক  অর্থনীতির লজেন্স চুষে,,,,
মাথা ও ঘাড় দুটোই একসাথে ক্ষণভঙ্গুর নাগরিক অস্তিত্বে দুলিয়ে থরহরিকম্প ভূমি তোমাদের ,,,,
বলে উঠো উল্লাসে পরধনসংগ্রামে প্রাপ্ত স্বাধীনতা সুখে,,,,
"মেরা ভারত মহান",,,,
আমি সত্যিই তোমাকে খুব ভালোবাসি,,,,
"ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা,,,, নিজ আত্মসুখে আত্মকাহনের।।

 সাতসাতেরো ভদ্রসভ্যশিক্ষিত সমাজের ভদরকুঁড়ের পাঁচালী,,,,
ঔদাসীন্য গৃহবাসীর কর্ণপাত ভাবিল বোমাবাজির গগননিনাদী আওয়াজ,,,,,
 যেন কোন উৎসবে জাঁকজমক বাজিবিদ্যুৎ উল্লাসী বহর
 কিংবা হাসিখুশী বিবাহ প্রাঙ্গনের কোন বিস্ফোরণ,,,,
 একবার‌ও ভাবিল না,,,,
ও যে আমাদের ঘরের মেয়ে গৌরীর
বিসর্জন।।

গৌরীর রক্তের সিঁদুর খেলায় আত্মবিসর্জন গার্হস্থ্য শোকে
এলোপাথারি গোলাগুলির বর্ষণ নির্ভীক সন্ত্রাসবাদীর আস্পর্ধায় গুমোড় ভাঙে,,,,

এলো না একজন‌ও প্রত্যক্ষদর্শী
একটুখানি মাথা উঁচিয়ে দিল না
বা দিতে চায়নি এগিয়ে এসে,,,,
 স্বার্থান্বেষী আপন সুবিধায় সদাহাসি নাগরিকত্ব বোলচাল ঠুনকো পদক্ষেপে,,,
এগিয়ে যাওয়া সাহসী ঘড়ির কাঁটায়
 যেন ওদের ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যায়,,,,

না বাবা ওদিকে গিয়ে আর কাজ নেই,,,,
ব‌উ ছেলে দেশীয় সম্পত্তি ওসব ছেড়ে বাইরের বিপদ আগ বাড়িয়ে ঘাড়ে নেওয়া,,,
যেন কোন শাশ্বত বাঙালী প্রবাদ ,,,
"আয় বাঁশ ঘাড়ে আয়,,, তুই কেন রয়েছিস ওতো দূরের কোন ঝাড়ে",,,,,

"সত্যি তুই অভাগী ওরে দেশমায়ের সোহাগ শশী,,,,
সত্যকেই যে নিতে চেয়েছে মায়ের আঁচল বলে",,,,
ঘরদোর ছেড়ে দেশের নামে করেছে তার সর্বস্বপণ,,,,
সে আজকে হলো সর্বস্বান্ত
আজ ধর্ষিত হয়েছে তার আত্মসম্মান।।

আস্তাকুঁড়ে ফেলতে চেয়েছে
 সেই সত্য কন্ঠের মরদেহ ভাগাড়ে
আজ‌ও নেই তার কোন অযুত-নিযুত-‌অলকানন্দা নামের কোন বিকল্প।।

কলম আমার গেছে জিতে সকল অন্ধপ্রমাদের গোগ্রাসী সন্ত্রাসের
 গলাধঃকরণ ছাড়িয়ে,,,,
স্বাধীন আপোষহীন সত্যের কলম
 তার নীবের সরসীর আঁচড়ে করেছে ক্ষতবিক্ষত প্রমাদে দগ্ধ,,,,
 সন্ত্রাসের মাথাচাড়া দিয়ে গজিয়ে ওঠার আত্মবিশ্বাসে,,,,
পায়ের তলার জমি দিয়েছে সেই সন্ত্রাসকে নাড়িয়ে,,,,

তাই হয়তো তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে বন্দুক সন্ত্রাসের,,,,
কিন্তু একের পর এক নিশানা ভুল
হয়তো দিকভ্রষ্ট হয়েছে তারা,,,,,
কেঁপেছে তাদের হাত,,,,,
বিশ্বাস আমার কলমের আঁচড় জিতিয়েছে জিততে যে হবেই ওকে,,,,
ওর দলিল দেশমাতৃকার বন্ধকিপণ,,,,
ওর মরণপণ,,, ওর জীবনপণ,,,,


দ্বিতীয় ভাগ: 

আমার মৃত্যুর কয়েকঘন্টা বাদেই চিল শকুনের নাগরিকত্বের চীৎকারে
 ফেটে পড়ে সাংবাদিকের কলম,,,,
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকারে আমার মরণশীল দেহ তুলে
 তীব্র কন্ঠের প্রতিবাদী আগুনে,,,
 সংবাদের পাতায় পাতায় তার ছয়লাপ,,,, 

একদা রাতজাগা গৌরী পেন্ডুলামের অবাধ্য চলনে নিরলস কলমের পরিশ্রমে ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ড এক করে
পাতা জুড়ে কালো অক্ষরে রচনা করেছিল মৌন লিপি তীব্র ধিক্কারে সত্যসূর্যের জাগরণে অমৃতাক্ষর,,,, 

হয়েছিল গৌরী যেন শেষনাগের সন্ত্রাস ছোবলের হলাহল শোষনে উদগ্রীব কোন মহেশ্বরী,,,,, 
লক্ষ্মীর লাল আলতা রক্তমাখা চরণে 
অমৃত সত্য উজাগরে সত্যসমুদ্রের জোয়ার মন্থনে,,,, 

তবে আজ কেন তোমরা থরে থরে সাজিয়েছো হে নির্বাক অর্বাচীন নাগরিক,,,, 
মৌনমিছিল,,,,
 করতলে লুকানো ছোট ছোট মোমবাতি সূর্য রাজপথে ঘাটে,,,, 
অশরীরী শরীর ভাসিয়ে,,,,, 
সেই এক নিরুত্তর অবান্তর প্রলাপ,,,, 
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে,,,, এ জীবন পূর্ণ করো বিনা সত্যসূর্য হৃদয়াঙ্গমে,,,, 

আমার মতন চাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দৃপ্ত কন্ঠে প্রতিবাদী অঙ্গীকার,,,,
সাংবাদিক তোমার কলমে উঠে আসুক আজ এই জনস্রোতের জোয়ার,,,, 

কলম বোদ্ধা তোমরা জন্ম নিও রক্তবীজ হয়ে আমার ভূ প্রোথিত সন্ত্রাসবাদীর ঝাঁঝড়া করা গুলির রক্তক্ষরণের অসমাপ্ত বীজে,,,,

গৌরী তুমিই তো তার কর্ণধার
কলম‌ই হল তোমার মতন সাংবাদিকের সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার,,,,, 
অনেক বেশী স্বয়ংসম্পূর্ণ শক্তিশালী তুমি
যেন কোন ধারালো তলোয়ার,,,,, 

আজ কেন গেলে চলে অকালে
এখনো যে রয়েছে অনেক কাজ তোমার বাকি। 
সব হয়ে যেতে পারে না,,,, 
কোন দুর্বৃত্ত আগন্তুকের শেষচিঠির ইতি ধারে নয়ছয় পাবন দীঘি,,,,, 


তোমরা আজ কেন সমবেত হয়েছো অনামী মুখের ভিড়ে শোকস্তব্ধ মিছিলে
কাতারে কাতারে জ্বালাতে লেগেছো আমার শহীদ পুণ্যাত্মার শোকে প্রদীপ,,,
কি হবে এসব করে,,,,
 আমি আজ চাই স্পষ্ট নাগরিক স্বীকারোক্তি।।

স্বাধীন নাগরিক অগ্নিদগ্ধ করো আপন হৃদয় জ্বালিয়ে ছারখার করে দাও পরাধীনতার বশ্যতায় থাকা কারাগার

 কালো নিকষ অমাবস্যা মেঘের আবছা প্রতিচ্ছবি ছিঁড়ে আনো সত্যের সূর্যালোক।। 
ধরো প্রতিজনা কলম আর উগ্রশাণিত নখরে ছিঁড়ে ফেল নগ্ন প্রতিবাদে
 ভদ্র সভ্যতার পরিপাটী শোভনীয় সাদা কাগজ।।
লেখো লেখো খুব লেখো আমার সমকক্ষ সাংবাদিক,,,, 
দেখো আজ‌ও জেগে আছে প্রতিবাদী গৌরী তোমাদের কবন্ধ দূরত্বে,,,, 
হয়ত ফেটেও পড়তে পারে তীব্র উদগ্র তেজের আক্রোশে,,,, 
প্রতিবাদে সমবেত আঙ্গিকে সোচ্চার হ‌ও
কলম যেন কোনদিন‌ও না থামে
এটা তোমরা মাথায় রেখো
ভেঙে ফেল লৌহকপাট
 মনে রেখো যেন তেন প্রকারেণ আনতে হবে স্বাধীনতার একমাত্র সূর্য
একমাত্র তবেই হবে আমার আত্মার চির প্রশান্তি।।


1 টি মন্তব্য: