শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০

##মৃত্যুর এসরাজ## টুটুল ওয়াহিদ


কবিতা: মৃত্যুর_এসরাজ

টুটুল ওয়াহিদ



আমি তোমাকেই মেনে নিয়েছিলাম যদিও সময়ের কাছে কখনো নিমেষেই মুছে যায় আত্মার নিগূঢ় সম্পর্ক তাই আজ আর আমি কিছু চাইতে আসিনি  ---

ভোগের উন্মাদনায় যখন মৃত্যুর বিন্যাস তখনো সময় চলে সময়ের নিয়মেই অনন্তের পথে --
তবুও আমি তোমাকেই মেনে নিয়েছিলাম !
কিন্তু বার বার স্বপ্নভঙ্গের বাস্তবতা আর আমার নিদ্রাহীন অপলক দৃষ্টি আজ ঐ প্রাসাদ চূড়ায় --
যেথা ভোগের শতরঞ্জি খেলায় স্বপ্নের মাতম বোড়ের অট্টহাসির লেলিহান লালায়।


আমি তোমাকেই মেনে নিয়েছিলাম --
অথচ আজও হালাকু চেঙ্গিসের সিনা টানে আমার দামের চৌকাঠে পড়ে বিষাক্ত নিঃশ্বাস !
তেমনি জাগতিক হিংসা - ভয়াল প্রবঞ্চনা
আর লালসা কাতর রঙিন চোখ
যা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক তা আজ আত্মকেন্দ্রিকতায় কেন্দ্রীভূত হয়ে আরো যেন প্রকট !
আমার সামনে - পিছে - ডানে - বাঁয়ে
শুধু হাত আর হাত --
তাই ক্ষুধার এক অস্পষ্ট প্রতিচ্ছায়া দেখতে পাই আমাকে ঘিরেই অদূরে ,
যদিও এখনো সলতে পোড়া গন্ধে বেড়ে চলেছে গুমোট --
হয়তো আর ক্ষণিক বাদেই বেজে উঠবে মৃত্যুর এসরাজ ! অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত চারিদিকে --
শুধু একটিই আওয়াজ শঙ্খনিনাদে
ভাত না দিস ফেনটুকুই দে।


আমি তোমাকেই মেনে নিয়েছিলাম --
কিন্তু অবাক বিস্ময়ে যখন দেখি আমার ক্ষুধার উদরেই পোষ্টমর্টেম চলে বারংবার অথচ তাতেও প্রতিধ্বনিত হয় তোমার অমল স্তুতি ছেয়ে যাওয়া পোস্টারে ফেস্টুনে !
হয়তো এমনি করে একদিন তোমার ভাস্কর্যও শোভা পাবে আমার ভস্মীভূত এ নাভিমূলে --
অথচ কি সামন্যই না আমার চাওয়া
স্রেফ একটি ছায়া বৃক্ষ --
যদিও আমার হাতে আজন্ম ভিক্ষার পাত্রই ছিল --
বলতে পারো শূন্যতার অহংকারে এ আমার স্বাধীনতার খোঁজে ফিরা ,
শুধু জেনে রাখো এ এক নতুন সময় নতুন করে জন্ম নিবার --
আক্রোশের দাঁতগুলো যেন সাম্যের গান গেয়ে চলেছ শেষ আশ্রয়ে --
বানের জলের মত ধেয়ে আসা সেই কলকল ধ্বনি তুমি শুনতে পাও বা নাইবা শোনো  --
আসছে বিস্ফোরণ যে আমার রক্তচোষা প্রাসাদ গুড়িয়ে দিবার।


তাই এবার না হয় আমার কবরের মাটিতেই পুঁতে যাবো--
শতবর্ষী নয় এক চিরঞ্জিব বৃক্ষের
চারা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন